আন্দোলনের পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আলোচনায় বসেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার আগ থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ব্লিডিং এর গ্রান্ডে আলোচনায় বসেন। আলোচনার সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সন্ধ্যায় পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে দুঃখ প্রকাশ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ইস্যু না হলেও রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। একটি ছাত্রীহলের প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে সেই বিক্ষোভে পুলিশি হামলার ঘটনায় ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে আমরণ অনশনেও বসে শিক্ষার্থীদের একটা অংশ। ১৬৩ ঘণ্টার দীর্ঘ অনশন ভাঙান অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

উপাচার্যকে গত ১৬ জানুয়ারি অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে নিজ বাসভবনে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আর বাসা থেকে বের হননি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে ১৭ জানুয়ারি তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ওই দিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার পর দিন ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় প্রশাসনিক কার্যক্রম। চলে ভর্তি কার্যক্রম। তবে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়েছে।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পর ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে।